• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

তদন্তে গিয়ে টাকা চাওয়ায় গাছার ওসিসহ এএসআই প্রত্যাহার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪  

একটি অভিযোগের তদন্তে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর গানম্যানের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এএসআইকে প্রতাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এক আদেশে তাদের প্রত্যাহার করেন। প্রত্যাহার করা গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আল আমিন এখন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ মাস আগে মহানগরীর মোগরখাল এলাকার আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকায় ৮ শতাংশ জমি কেনেন বঙ্গবন্ধুর গানম্যান ও দেহরক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. আ. জলিল। ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ওই জমি নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা পেয়ে বাকি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে জমির রেজিস্ট্রি করেন। কথা ছিল ২ থেকে ৩ মাস পর জমির বাকি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু আ. জলিল জমির বাকি টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। এ ঘটনায় জমি বিক্রেতা একটি উকিল নোটিশ পাঠান। তিনি চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে থানায় আ. জলিলকে বাদী করে একটি অভিযোগও দেন। আ. জলিল জানান, অভিযোগ তদন্ত করতে ১১ মার্চ বাড়িতে সাদা পোশাকে যান গাছা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন। ঠিক ওই সময়ে তিনি বাথরুমে থাকায় তার ছেলে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ছেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। পরে তিনি বেরিয়ে এলে তার সঙ্গেও বাজে আচরণ ও গালিগালাজ করা হয়। তাদের মধ্যে আলোচনার একপর্যায়ে এএসআই তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সঙ্গে আরও খারাপ আচরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, তাকে গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাছা থানার নিচ তলায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে বসিয়ে রেখে তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে জলিলের গায়ে হাত তোলেন এএসআই আল আমিন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমকে জানালে তিনি কোনো প্রতিকার না করে তাকে পাওনাদারের টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে বলেন। পরদিন ১২ মার্চ আ. জলিল বিষয়টি গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহাবুব আলমকে মৌখিকভাবে এবং পরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। আ. জলিল বলেন, আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি এর সঠিক বিচার করেছেন। আমি এর চেয়ে আর বেশি কিছু চাই না। উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার গাছা থানার ওসি মো. শাহ আলম এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আল আমিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর