• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

‘১২০ টাকার খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ২১০ টাকা’

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, খেজুর আমদানি করতে প্রকৃত দামের দ্বিগুণ শুল্ক দিতে হয়। ১২০ টাকার খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ২১০ টাকা। পরে তা বাজারে বিক্রি করতে হয় ৩৩০ টাকা। একইভাবে ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরে ১৪০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে হয় ২৫০ টাকায়। এজন্যই বাজারে খেজুরের দাম এত বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে মাত্র ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারেনি। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে ৪০০০ টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০ টাকা। আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর