• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ভূরুঙ্গামারীতে মৃত বেমাতা ভাইয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২১  

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সাদ্দামের মোড়ে মৃত বেমাতা ভাইয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে মুকুল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। মৃত ভাই আলী মন্ডলের প্রায় গৃহহারা সন্তানেরা দিশা হারিয়ে ফেলেছে। অদৃশ্য শক্তির দাপটে কোনঠাসা হয়ে আছেন জমির প্রকৃত হকদারেরা।

সরেজমিন জানা যায়, ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আলী মন্ডলের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র রোজ ও সবুজ এবং দুই কন্যা রাণী এবং রিক্তা বসত বাড়ির সাড়ে ৭ শতাংশ জমির ওয়ারিশ মালিক হন। ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক হন আলী মন্ডল। পিতার মৃত্যুর পর সন্তানেরা কর্মের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন।  এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়ির কাজের জন্য ইট বালু রাখার জায়গা নেই। এই অযুহাতে তাদের ফাঁকা জায়গায় চাচা মুকুল চৌধুরী ইট বালু রাখেন। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও এই ইট বালু সেখান থেকে সরাতে পাচ্ছেন না আলী মন্ডলের ওয়ারিশগণ। উপরোন্ত আলী মন্ডলের ওয়ারিশরা তাদের জায়গায় স্থাপনা দিতে গেলে এখন জোড়ালো বাধা প্রদান করে আসছেন মুকুল চৌধুরী। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে অনেকবার বৈঠক হয়েও কোন সুরাহা আসেনি। স্থানীয় গদাধর চন্দ্র এর পুত্র শ্যামল চন্দ্র বলেন- আমি দীর্ঘদিন আলী মন্ডলের জায়গায় স্থাপিত দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেছি। প্রতি মাসেই ঘরের ভাড়া আমি আলী মন্ডলকে দিয়ে এসেছি। ওই জায়গার মালিক আলী মন্ডলের মৃত্যুর পর তার সন্তানেরা এতে কোন সন্দেহ নেই। স্থানীয় মৃত- নৈমুদ্দিন মাস্টারের ছেলে এসএম মহিবুল নইম বলেন- আমরা প্রতিবেশি। রোজ, সবুজ ওরা দুজনই আমার প্রায় সমবয়সী। আজ তার চাচা মুকুল চৌধুরী অন্যায় ভাবে তাদের বসতবাড়ীর জমি জবর দখলের পাঁয়তারা করছে। চাচার ভয়ে তারা নিজ বাড়িতেই থাকছেন আতঙ্কে। স্থানীয় সংবাদকর্মী গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, আমরা এই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছি। আলী মন্ডলের সন্তানেরা তার চাচা মুকুল চৌধুরীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের জায়গায় সামনে একটি দোকান ঘর সড়ক দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর তা সেই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রোজ, সবুজেরা শত চেষ্টা করেও দোকান ঘরটি মেরামত করতে পাচ্ছে না। মুকুল চৌধুরী বলেন- আলী মন্ডল আমার বেমাতা ভাই। তার সন্তানেরা বাহিরে থাকেন। বাহিরে থেকে আমার সম্পর্কে তারা কি মন্তব্য করলো সেটা আমার ভাবার বিষয় নয়। আমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। পার্শ্বের জায়গাটি তাদের ফাঁকা পড়ে আছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর