• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কুড়িগ্রামে চার হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদন্ড

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান। এ সময় মোট সাত আসামীর মধ্যে ৬ জন উপস্থিত ছিল। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত এক আসামী শুরু থেকে পলাতক রয়েছে। তিনজন জেলে ও তিনজন জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী ভোরে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মন্ডল, নাতনী রোমানা ও আনিকার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ শোবার ঘরে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিতে মারা যায় স্ত্রী হাজেরা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাফিজুুর রহমান অজ্ঞাত আসামী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করে। পরে একই এলাকায় চান্দ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা সুলতান হত্যা কন্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। নিহত সুলতানের ভাই মমতাজ ভাড়াতে খূনি দিয়ে এদের রাতে হত্যা করে বলে স্বীকার করলে এ রায় দেয় আদালত। আসামী মমতাজ উদ্দিন, নজুরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী, ওরফে পলাশ গাজী, হাসমত আলী শেখকে ফাঁসি এবং নাইনুল ইসলামকে খালাস প্রদান করা হয়। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন- এডভোকেট এস.এম.আব্রাহাম লিংকন আসামী পক্ষে সাবেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু, মনোয়ারুল হক আলো, আমীর আলী, এটিএম এরশাদুল হক চৌধুরী শাহিন, আসাদুল হক ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন- মামলাটি চাঞ্চল্যকর হলেও ক্ললেস মামলা হওয়ায় তদন্তে পুলিশকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিলম্ব হলেও প্রকৃত আসামীদের বড় অংশের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ জোগার করতে পেরেছিল পুলিশ। সে মোতাবেক আসামীদের আইনের আওতায় আনতে পেরেছিলেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষ্য সমাপ্ত করে বিচার নিস্পত্তি করায় বিজ্ঞ আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে দ্রæত বিচার নিস্পত্তিতে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আসামী পক্ষের আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে ভাংচুর করার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। আসামী পক্ষের এডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন- আমি আসামী মমতাজ উদ্দিনের পক্ষে ছিলাম। আদালত তার ফাঁসির রায় দিয়েছে। আমরা আপিল করবো। আদালতে ভাংচুরের ঘটনা আমি শুনেছি। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ভাংচুরের ঘটনার সাথে জরিতদের আইনের আওতায় আনা হোক। আসামী পক্ষের এডভোকেট আমীর উদ্দিন বলেন- আমি হাসমত আলী ও নাইমুল ইসলামের পক্ষে ছিলাম। এর মধ্যে নাইমুল ইসলাম খালাস পেয়েছে এবং হাসমত আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর