• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১  

টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম। নাম শুনলেই ভোজনরসিকদের জিভে আসে জল। টাঙ্গাইলের অন্যতম ঐতিহ্য এই চমচমকে বলা হয় মিষ্টির রাজা। আর এই মিষ্টির ঐতিহ্য প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো।

টাঙ্গাইল শহরের পাঁচআনি বাজারের মিষ্টান্নের বিভিন্ন দোকানে শোভা পাচ্ছে পোড়াবাড়ির চমচম। সুস্বাদু এই মিষ্টির উপরিভাগে ছিটানো থাকে চিনির গুড়া। ভেতরের অংশ রসালো এবং নরম।

প্রবীনরা বলেন, ব্রিটিশ আমলে আসাম থেকে আসা দশরথ গৌড় নামে একজন ধলেশ্বরীর পানি ও ঘন দুধ দিয়ে এই চমচম তৈরি করেন। সেই থেকে দেড়শ’ বছর ধরে চলছে এই মিষ্টি তৈরি।

মিষ্টি ব্যবসায়ী জানান, আমার নানা দশরথ গৌড় প্রথমে এই পোড়াবাড়ির ঘাটে মিষ্টির দোকান করে। এখান দিয়ে নদীপথে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহসহ আশাপাশে যোগাযোগের পথ ছিল। এই সূত্রে চমচমের নামডাক ছড়িয়ে পড়ে।

ধলেশ্বরী নদী দিয়ে পোড়াবাড়ি ঘাটে ভীড়তো স্টিমার। সেসময় গোটা ভারতবর্ষে সুস্বাদু এই চমচমের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। কারিগরা জানান, খাঁটি দুধ প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় চমচম।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশরা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য লঞ্চ-স্টিমার পোড়াবাড়িতে ভিড়াতো। এখান থেকে সন্তোষের জমিদারবাড়িতে উঠতো। জমিদাররা তাদেরকে উপঢৌকন হিসেবে পোড়াবাড়ির চমচম দিত।

মিষ্টির দোকানমালিকরা জানান, ইউরোপ, আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত যায় এই মিষ্টি।

পোড়াবাড়ির বিখ্যাত এই চমচম কেজি প্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হয় টাঙ্গাইলের বাজারে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর