• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বিষ মেশানো আনারসে সয়লাব বাজার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

টাঙ্গাইলের লালমাটি পাহাড়ি গড় এলাকার কৃষকরা বাড়তি মুনাফা পাওয়ার আশায় অপরিপক্ব আনারস বিক্রি করছেন। তারা মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে আনারসকে পাকিয়ে বাজারজাত করছেন। এতে অ্যালার্জি, চর্মরোগ থেকে শুরু করে ক্যানসারেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই আনারসের জাতকে জলডুগি বলা হয়। এটি সাধারণত জুন-জুলাই মাসে বাজারে আসে। প্রাকৃতিকভাবে আনারস গুটি ধরা থেকে পাকা পর্যন্ত ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগে। জলডুগি আনারস চারা রোপণ থেকে পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ১২ মাস। আনারস জুন-জুলাই মাসে বাজারে আসার কথা থাকলেও মার্চেই বিক্রি শুরু হয়েছে। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মধুপুরে ৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৪ হেক্টর জমিতে জলডুগি এবং ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে ক্যালেন্ডার প্রজাতির আনারস আবাদ হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ৬ হেক্টর জমিতে এমডি-টু জাতের আনারস আবাদ হয়েছে। আনারসের চারায় গুটি ধরা, বড় করা ও পাকানোর কাজটি করা হচ্ছে রাসায়নিক দিয়ে। ৪৫ পাতা হওয়ার পর আনারসের চারায় গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কিছু চাষি ১২-১৫ পাতা হওয়ার পরই তা ব্যবহার করছেন। আবার ১৬ লিটার পানিতে ১৬ মিলিগ্রাম রাসায়নিক মিশিয়ে স্প্রে করার নিয়ম। কিন্তু কৃষকরা ১৬ লিটারে দুই থেকে তিনশ মিলিগ্রাম ব্যবহার করে স্প্রে করছেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. দুলাল উদ্দিন বলেন, বাড়তি মুনাফার আশায় অনেকে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে অপরিপক্ব আনারস বাজারজাত করছেন। অনুমোদিত রাসায়নিক প্রতি লিটারে এক মিলি ব্যবহারের পরামর্শ কৃষককে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা মানেন না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর