• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রাজশাহীতে তরমুজের কেজি ৩৫ টাকা, তবুও পচছে!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

রাজশাহীতে রমজানের শুরুতে কেজিপ্রতি তরমুজের দাম সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেলেও এখন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। সন্ধ্যার পর এ দাম নামছে ২৫ টাকাতেও। তবুও ক্রেতা কমেছে। অথচ বেড়েছে সরবরাহ। যা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে তরমুজ না কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকেই এতে সমর্থন দিয়ে তরমুজ কিনছেনও না। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া বাজারে তরমুজের সরবরাহও বেড়েছে। তরমুজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসলে ও মান রক্ষা করা না হলে তরমুজ কেন কিনবেন এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর সাহেব বাজার, কোর্ট বাজার, রেলগেট, উপশহর, শালবাগান এলাকা ঘুরে ও তরমুজের বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে তরমুজের দাম কোন কোনো ব্যবসায়ী ৪০-৫০ টাকা দাম হাঁকালেও বিকেলের পর তা নেমে যায় ৩৫ টাকা কেজি দরে। এর আগের দিন রাতের বেলা বেশকিছু তরমুজের দোকানের সামনে কিছু পচা তরমুজ পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ভাগাড়েও দেখা মিলছে পচা তরমুজের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা যেমন দামে কেনেন, তেমন দামেই বিক্রি করেন। এখন কম দামে কিনছেন, তাই কম দামে বিক্রি করছেন। আর রমজানের শুরুতে বেশি দামে কিনেছেন, লাভ যোগ করে বেশি দামেরই বিক্রি করতে হয়েছে। তবে এটা সত্য সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে; কিন্তু ক্রেতা খুবই কম। কোনো কোনো ব্যবসায়ী বিক্রি করতে না পারায় কিছু ক্ষতিও হচ্ছে। বিকেল ৪টার দিকে নগরীর তরমুজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিলহাজ বলেন, আমরা মণ হিসেবে কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছি। আগের চেয়ে ক্রেতা কম। দামও অর্ধেকের নিচে নেমেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, অনেকেই তরমুজ কিনতে চাচ্ছেন না। বিকেলের পর গত কয়েকদিন থেকে এমন হচ্ছে, কেনা দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। দু’একটা তরমুজ পচেও যাচ্ছে। সাহেব বাজার এলাকায় একজন ফল ক্রেতা মারুফ হাসান বলেন, রমজান মাসে তরমুজটা সবারই প্রিয়। কিন্তু এবার বাজারে অপরিপক্ব তরমুজ এসেছিলো। সঙ্গে দামও ছিল চড়া। তারপরও এতো দামে তরমুজ বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর ভেতর সাদা থাকায় পরিবারের সদস্যদের কাছে বিরুপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে। এ কারণে তরমুজ কিনছি না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর