আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০ গ্রাম লন্ডভন্ড

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে গাছ-পালা ভেঙে এবং উপড়ে যাওয়াসহ চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ অন্তত ১২টি গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা-আধপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুর, ধনিয়া, ধান, গমের ক্ষেতসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে। পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ৮ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঢাকায় আছি। শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ৮টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে। আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচা-আধপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।