• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
কুড়িগ্রামে জি-৩ রুই রেনুপোনা চাষে লাখপতি ফারুক মন্ডল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে- ধর্মমন্ত্রী বকশীগঞ্জ জমজ দুই পুত্র সন্তানের জন্মের পর মায়ের মৃত্যু এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ রৌমারীতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ প্রার্থীদের বকশীগঞ্জে সুজনের কমিটি গঠন বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলার মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে

বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করলেন সৎভাই

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৪  

রাজশাহীতে সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনকে পরিকল্পিতভাবে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় মেয়েটির সৎভাই ছাড়াও তার স্ত্রী এবং এক বন্ধু ছিলেন। তারাও এই খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তিনজনকেই আটক করেছে পুলিশ। তাদের রাজশাহী মহানগরী এলাকা থেকে আটক করা হয়। নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শীশা বাঁশপীর গ্রামের হরিলালের মেয়ে। তাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তিনজন হলেন- সন্ধ্যার সৎভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), ফুলবাবুর স্ত্রী মিনতী রানী (২৫) এবং বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯)। পলকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামে। ফুলবাবু তার স্ত্রী মিনতী ও সৎবোন সন্ধ্যাকে নিয়ে রাজশাহীর কর্ণহার থানা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন ফাঁকা পড়ে থাকা একটি দোতলা বাড়ির ওপরের তলার বাথরুমে সন্ধ্যায় মরদেহ পাওয়া যায়। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, সন্ধ্যা রানীর মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত তরুণীর পরিচয় জানা যায়। এছাড়া এ খুনের সঙ্গে জড়িতদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে স্বীকার করেছেন। ওসি জানান, ফুলবাবু তার স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখানে সন্ধ্যার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেখানে তারা একটি ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে। রাজশাহী চলে আসার পর ফুলবাবু তার বোনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন; কিন্তু সন্ধ্যা বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এজন্য ফুলবাবু, তার স্ত্রী মিনতী ও আদিল মঙ্গলবার বিকালে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় যান। আসার আগে রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার থেকে একটি ছোট ছুরি আর কাটার কিনেন। গোগ্রাম গিয়ে তারা সিএনজিটি ছেড়ে দেন। এরপর হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। পরে কৌশলে ওই নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানের জমির নালায় ছুরি পুঁতে রেখে যান। আসামিদের নিয়ে গিয়ে বিকালে এই ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে। কিন্তু মামলার বাদী করার মতো কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ঢাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটির তদন্ত করা হচ্ছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর