• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ধুনটে বন্যায় প্রাণিখাদ্যের সংকট

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২০  

উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বন্যায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রাণী খাদ্যের সংকটের কারণে একদিকে যেমন গরু-মহিষ ও ছাগলকে চাহিদা অনুযায়ী খাবার দেওয়া যাচ্ছে না, অপরদিকে শুকনো জায়গার অভাবে নিরাপদ স্থানে রাখার জায়গা হচ্ছে না। 

 

জানা গেছে, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তীরবর্তী ২টি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চর এলাকায় চারণ ভূমি প্লাবিত হয়েছে। এতে গবাদি পশুর অন্যতম প্রধান খাদ্য ঘাসের যোগান বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে যারা কোরবানির জন্য গরু-মহিষ ও ছাগল লালন পালন করেছেন তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। বন্যা দূর্গত এলাকায় ৬৭৩টি গরু, ৫৫২টি ছাগল, ২৩০টি ভেড়া ও ২২টি মহিষ পানিবন্দি রয়েছে। 

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন বন্যা দূর্গত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবাণীর পশুগুলোর খাবার সংগ্রহের জন্য কৃষক এবং খামার মালিকদের মধ্যে রীতিমতো হাহাকার পড়ে গেছে। কোরবাণীর পশুগুলো নিয়ে কৃষক এবং খামার মালিকরা অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন। নিয়মিত খাবার দিতে না পারায় এরই মধ্যে গরু-ছাগলগুলোর ওজন কমতে শুরু করেছে। এভাবে চললে সেগুলোকে হাটে তুলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

 

নিউসারিয়াকান্দি চরের বিলাত আলী জানান, চরের কোথাও শুকনো জায়গা নেই। ক্ষুধার্ত মহিষগুলোকে খাওয়ানোর মতো ঘাসও নেই। তাই বাধ্য হয়ে তিনি মহিষগুলোকে নিয়ে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। কিন্ত যেসব মাঠে ফসল আছে সেখানে জমির মালিকরা মহিষ নিয়ে ভিড়তে দিচ্ছেন না। ফলে সবখানে মহিষগুলো খাবারও পাচ্ছে না।

 

বৈশাখী চরের মোবারক হোসেন জানান, বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় ৫টি গরু নিয়ে তিনি রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। ঘাস আর খড়ের অভাবে গরু গুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী খাওয়াতে পারছেন না। একই চরের মোশারফ হোসেন জানান, কোরবানির হাটে বিক্রি করবেন বলে তিনি একটি ষাঁড় লালন-পালন করছিলেন। কিন্তু বাজারে ঘাস না মেলায় গরুকে নিয়মিত খাওয়াতে পারছেন না।

 

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী খাবার দিতে না পারলে গবাদি পশুগুলোর ওজন কমে যাবে। কোরবানির পশুগুলোর ওজন কমলে কৃষক ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে এই সংকট মোকাবেলায় খামার মালিকদের বিকল্প পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাণী খাদ্যের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর