• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীদের ঈদের বেচাকেনার প্রস্তুতি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২১  


সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে চলমান লকডাউনের মধ্যে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে চালু হয়েছে দেশের সকল দোকানপাট মার্কেট শপিংমল ও বিপণিবিতান। করোনা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি স্বাস্থবিধি মেনে মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এই নীতি মেনে বেসরকারী খাতকে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড চালাতে হবে।


ঈদের বেচাকেনার জন্য মার্কেটগুলোতে পাইকারি বাজার থেকে আনা হচ্ছে বাহারি সব নতুন পোশাক। কেনাবেচা শুরু হলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট, শপিংমল ও মার্কেটগুলো খোলা রাখা যাবে। করোনার সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে ক্রেতাদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে। মাস্ক ছাড়া কেউ মার্কেট প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে বেচাকেনা করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে চরম ঝুঁকিতে এখন স্বাস্থ্য খাত। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহার। এ অবস্থায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব রয়েছে সামনে। অভ্যন্তীণ বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসবও এটি।

চলমান লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের মার্কেট ও শপিংমলগুলো এতদিন বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে করে তাদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদের বেচাকেনার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে চলমান লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দোকানদার ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এখন ঈদের বেচাকেনা শুরু হলে ফের গতি ফিরে আসবে অর্থনীতিতে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে লকডাউন শেষ হওয়ার দুই দিন আগে এবার খুলে দেয়া হয়েছে বিপণিবিতানগুলো। এমন অবস্থায় দোকান গোছাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলা ও উপজেলা শহরের মার্কেটগুলোতে বেশ কিছু দোকান খুলে কর্মচারী ও দোকান মালিকদের গোছগাছ করতে দেখা যায়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটগুলোতে ভীড় বাড়তে থাকে। আব্দুল বাছেদ নামে ওই মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিল। এখন সরকার দোকান খোলার অনুমতি দেয়ায় আমাদের জন্য অনেক ভাল হয়েছে। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ থাকলে আমাদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের কেনাকাটা করার জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর