• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রাজশাহীতে আবাদ কমলেও আলুর ফলন ভালো, দামে খুশি চাষি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৪  

রাজশাহী দেশের অন্যতম প্রধান আলু উৎপাদনকারী জেলা। গত এক দশকের মধ্যে এবার এ জেলায় আলুর আবাদ কম হয়েছে। আলুর জমি কমলেও আলুর উৎপাদনে কোনো হেরফের হবে না বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ফলে আলুর জমি কিছুটা কমলেও মোট ফলন কম হবে না। চাষিরা বলছেন, আলু আবাদের খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় চাষযোগ্য অনেক জমি খালি পড়ে আছে। তবে বাজারে আলুর দামে চাষিরা খুশি। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছর রাজশাহীতে ৩৬ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। এ পরিমাণ জমি থেকে ১০ লাখ ২২৩ টন আলুর উৎপাদন হয়েছিল। অন্যদিকে চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে রাজশাহীতে আলুর আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর কম জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। আলুর জমি কমায় রাজশাহীতে আলুর ফলন কিছুটা কম হবে বলে জানিয়েছেন হিমাগার মালিকরা। রাজশাহীর মাঠে মাঠে এখন জমি থেকে আলু তোলার কাজ চলছে। আলুর দাম বেশি হওয়ায় অনেক আলুচাষি হিমাগারের বদলে জমি থেকেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে বেশি দামের আশায় সচ্ছল চাষিরা আলু রাখছেন হিমাগারে। তানোর উপজেলার যুগিশো গ্রামের আলুচাষি মোজাম্মেল হক বলেন, উৎপাদন খরচ মিটিয়েও কেজিতে ১০ টাকা করে লাভ হচ্ছে। রাজশাহীর উৎপাদিত আলু বিভিন্ন হিমাগারেও সংরক্ষণও করা হচ্ছে। রাজশাহীর ৩৬টি হিমাগারের ধারণক্ষমতা সাড়ে ৬ লাখ টন। বাকি ৪ লাখ টন আলু চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। কিছু আলু সরাসরি বিক্রির জন্য যাচ্ছে বাজারে। রাজশাহীর মোহনপুরের মৌগাছির আলুচাষি আখেরুল ইসলাম জানান, গত বছর আলু আহরণ মৌসুমে কেজিতে দাম ছিল ১৫-১৮ টাকা। এবার আলু উত্তোলন মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহীতে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। রাজশাহীর দুর্গাপুরের চাষি আলম মণ্ডল বলেন, এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ বস্তা করে আলুর ফলন হচ্ছে। প্রতি বস্তায় থাকে ৬৫ কেজি হিসাবে এক বিঘায় এবার আলুর ফলন হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ কেজি, যা ৪ টনের কাছাকাছি। মামুন মণ্ডল নামের আরেক আলুচাষি জানান, এবার জমির আলু হিমাগারে রাখার জন্য বুকিং দেওয়া হলেও এখন দাম ভালো হওয়ায় সব আলু জমি থেকে বিক্রি করে দিয়েছি। এবার প্রতিবিঘায় ৭০ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে। রাজশাহীর মোহনগঞ্জের আলুচাষি আব্দুস সালাম জানান, এখন দাম যতই হোক সব আলু হিমাগারে রাখব। তিনি ২৫০ বস্তা আলু হিমাগারে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামীতে আলুর দাম আরও বাড়ার আশায় আব্দুস সালামের মতো অনেক চাষি উৎপাদিত আলু হিমাগারে রাখছেন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর