চাকরির প্রলোভনে ২ তরুণীকে নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি

পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির আশায় পরিচিত দুই ব্যক্তির সঙ্গে ঢাকায় আসেন চাঁদপুর ও ফেনী জেলার দুই তরুণী। তারপর একে একে দুই তরুণীকেই ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে এক সর্দারনির কাছে বিক্রি করে দেন ওই ব্যক্তিরা। চাঁদপুরের তরুণীকে (২১) চাকরির প্রলোভনে ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে দুইদিন রাখার পর ৩ ব্যক্তির হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। ওই ৩ ব্যক্তি সেদিন সন্ধ্যায় তরুণীকে ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীতে এনে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এদিকে চাঁদপুরের এই তরুণীর মতো একই ঘটনার শিকার হন ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণী (২২)। তাকেও চাকরির কথা বলে এই পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই ২ তরুণীকে উদ্ধারের পর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে এক ভুক্তভোগীর মা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতেই যৌনপল্লীর সর্দারনি পারুল বেগম ওরফে পারুকে (৪৮) গ্রেফতার করে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন, জহির ও ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী পতিতা সর্দারনি ববি। তবে আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় মেলেনি।